Saturday, 1 February 2020


ভাওয়াইয়া-দোতরা পত্রিকা দ্বিতীয় সংখ্যা প্রকাশিত ০২/০২/২০২০

শিপা
 পীযূষ সরকার
শিপা ছিড়ি-ছিট্টি গেইছে ত্যাং মুই ভাঙি পড়ং নাই
মানষি ভাবে মরা গছ মোক ,মুই তো এলাও মরং নাই

কতনাকান পঙ্খি আইসে , বাসা বনের চায়
নাই পাতা নাই ফুলের দেহা ,ঠোট মুছিয়া যায়
কুড়াল দিয়া চোটায় কাও , খড়ির লোভে মোক
কথা দিয়া চোটায় বেশি গার বগলের লোক
হুরকা তুলি কতজনে নড়ের চাইছে ,নড়ং নাই

মানষি ভাবে মরা গছ মোক মুই তো এলাও মরং নাই !
বোজাপড়া

 অজিত অধিকারী

কুয়াশা ভাঙি,খেড়ের পুঞ্জি ভাঙি মুই আগেয়া যাঙ
দুই চারজন মানষি খোঁজঙ

এখনা কম্পনের কথা কইম।যেদু এখনা ঢেউ তোলা যায়

এই ঢেউ কোনা কীসের?এটা এখনা বোজাপড়া।

এটা এখনা পীরিতি।এটে no satiety.

দিনে দিনে এই পীরিতি ঘন হয়।


ওই তল্লিগছ,গুয়াবাগান নিমন্ত্রণ করে।

এই কম্পন কোনা দেওয়া মোর হাবিলাস

মুই কিছুই না চাঙ।দুইচারঝন মানষি চাঙ

আস্তে আস্তে মানষি বাড়বে।আস্তে আস্তে

পরমানন্দের গান সগায় কমো

তোমারাও আসবেন।মুই পন্থ চেয়া রঙ
আইসো-'

নয়া করি জীবন সাজাই

মারিফেলা কান্ড
 কানাই রায় সরকার
কনে দিনে বাড়িল বয়স,
গাবুর হনু মুই;
দুস্কের কতা কনতো বনু
কোনটে এলা থুই?

স্কুলের মায়া ছাড়িয়া বনু
কলেজোত দিনু ঠ্যাং,
ওই নাটা ঠাউঙরা চ্যাংরাগুলা
পাছ ছাড়েনা ত্যাং।

সেদিন ঘাটাত দুপুরা বেলা
কলেজ জেলা জাঙ,
একনা চ্যাংরার কান্ড দেখি
মাথা হৈছে হ্যাঙ।

বনু চুল ছাটিছে মুরগা কাটিং,
মুখের কি তার মোশান!
পিন্দনের প্যান্ট হুকশি পড়ে,
ওইটায় উয়ার ফ্যাশান।

কাউয়া ঠ্যাঙা ভাবে হাটি
বগল আসি কয়,
'তুমি কি আমাক দেখি
লাইক করত্যা হ্যায়?'

এইল্লা কতা শুনিলে বনু
মনটা কি কয় হোর!
মনের রাগে কয়া ফেলাইচোঙ,
'বাড়িত মাও বইন নাই তোর?'

আর একেনা ফাকসা সেদিন
বাইক ধরিয়া পাছত,
মোক ফলো করতে করতে
উস্টা খাইছে গছোত।

উস্টা খাওয়ার আগোত সেলা,
মোক দেখিয়া কয়,
"তুমহারে লিয়ে দিল তো পাগল হ্যায়!"
সঙ্গে সঙ্গে মুইও কইছোঙ,
"লেকিন তুম তো ছাগল হ্যায়।"

এঙ কোরিয়া একেক দিনে
একেক জনের জ্বালা,
ভাব দেখিলে মনে হয়
উমরা মোর
বাঁশি বাজা কালা।

বনু,
হামরা নারী,,,,
হামরা কিন্তু নোমাই তোমার ভাণ্ড,
এঙকরিয়ায় ঘোটি চলছে
খালি মারি ফেলা কান্ড।

ধারাবাহিক নাটক
-------------------------

                        হামাক বাচাও
                         নগেন রায়   
                 প্রথম অংক -----
                             প্রথম দৃশ্য

 নগেনর প্রবেশ , ইতস্তত , পায়চারী করছেন ।

(নেপথ্যে চিৎকার )পালাও পালাও পুলিশ আইসেছে পালাও পালাও (2)

নগেন - পুলিশ কি তাহলে ।
              (দ্রুত জীতেনের প্রবেশ )
জীতেন- নগেন দা ।
নগেন - জীতেন , পুলিশ
            আইসেছে ।
জীতেন - হ্যাঁ - হ্যাঁ কী শুনালু।
                এলাও যদি বাচির চাইস তে দে এদি পচিলা পাকদি দৌড় ওই তোর্সা নদীর পার ।
নগেন - থাম ? তোর মুখ দিয়া
          যে এই মতন কথা বেড়াইবে মুই আশা করং নাই -- ছিঃ
জীতেন- নগেনদা ।
নগেন - হ্যাঁরে, হ্যাঁ আইন
          হাতত নিবার মুই কায় ।
রাগের মাথাত অত খেয়াল ছিলনা যে লোকটা এমনী মরি যাছে তবু টাক মুই ।
জিতেন - নগেন দা
 নগেন - তবু আজি ইচ্ছা
          করিলে মুই বাচি যাবার পাং, না পালেয়া না হয় ঘুষ দিয়া কিন্তূ কি হৈবে ?
জিতেন- স্থম্ভিত :-------------
নগেন - ভাবি দেখ জিতেন
            হামরায় গ্রামের চ্যাংরা হামারে উপর তামান আশা,ভরসা হামরায় গ্রামের ভবিষ্যত, হামর উচিত মানসীক বাচা মানসীক বাচের যায়া যদি হামার বাচাটাকে বড়ো করি দেখি তাহইলে কেমন হামা গ্রামের যুবক ? কেমন হামা
শিক্ষিত ?
জীতেন - নগেনদা মোর ভুল
            হৈছে মোক মাফ করি দে ।
       (সহসা পুলিশ, দারোগার প্রবেশ )
দারোগা - হ্যান্ডস আপ (উভয়
             হাত ওঠাইল ) আর ইউ নগেন রায় দ্যা মার্ডারার
নগেন - ইয়েস স্যার
দারোগা - ওয়েল , ইউ আর
              আন্ডার আয়রেস্ট ।
নগেন- আয়রেস্ট বাট?
দারোগা- সাট আপ , চোপড়া।
              বিকুইক
পুলিশ- ইয়েস স্যার ,আই এম।
             রেডি ( কড়া নগাইল)
দারোগা- এন্ড ইউ ?
জীতেন- জীতেন রায় ।
নগেন - মাই কমপেনিওন
দারোগা- ও আই সি দ্যট
                মিনস হি ইজ অলসেএ কনভিকট । চোপড়া, আরে হা করে দেখছিস কি ননসেঞ্চ , স্টুপিড যাও নিয়ে যাও একে ।
চোপড়া- ইয়েস স্যার ।
নগেন - দারোগাবাবু উয়ায়
           নিঃ অপরাধ
দারোগা- সাট আপ , নি অপরাধ সে বুঝবার আমি, তোমাকে এর ওকালতি করতে হবে না , চোপড়া
পুলিশ - ইয়েস স্যার ( ইঙ্গিত
            করিল । জীতেনক নিয়া পুলিশের প্রস্থান )
দারোগা - এন্ড ইউ প্রসিড --
            প্রসিড টাওয়াউস থানা ইমিডিয়েটলি, আই সো হ্যাভ ইউ অলসো এনি অফ্জেকশন ।
নগেন--নো সার, দোস করিসু
          তার জন্য মোর কোন দু:ক্ষ নাই। কিন্তূ দু:ক্ষ এই তোমরা খালি উপরেরটা দেখির জানেন, তলেয়া দেখেন না ।
দারোগা--হোয়াট-
নগেন--সমাজে যায় খোদ
          দু:সমন,সমাজোত দিনকে দিন ঘুন ধরাছে ছোট বড়লার জীবন নিয়া ছিনিমিনি খেলাছে হুলা মানসিক তোমরা মুখের আগদি হাতি বেড়ালেও দেখিয়াও যেনি দেখেন না । এই মতন তোমরা দারোগা পুলিশ ।
দারোগা - (রাগিয়া ) নগেন
              হ্যাভ এনি এভিডেনস
নগেন - ইয়েস -ইয়েস সার,
      আজি তাকে তমরা সন্দেহ করি জেহেল নিগান কবার পাবেন মাইরের ঠালাতে কত নি দুশি মানশিক বিনা দোষে দুসি করেছেন । আর চোর ডাকু খাবার মানসিকলাকে তোমরা ঘুস খায়া
দারোগা - নগেন সাট আপ
নগেন - নো সার আই ডোণ্ট
          এফ্রেরাইড অফ এনিবডি , নিচের তলাত কি হচে না হচে তাক তোমরা দেখেন না দেখেন না যে গ্রামের কয় কান মানসিক কেং করিয়া ধনী হছে যার জন্যে আজি গ্রামত হাহাকার কাহো ফেলেচেরে খাচে কাহো ফকির হছে কেনে এই অবিচার কেনে আজি কালা , প্রমিলার জীবন অকলে বরবাদ হৈল । আর হামার সাজা সংসারটা হয় ছারকার কেনে আজি মোর বাপবৈনিক অকালে মরির নাগে মাক হবার নাগে পাগলি আর ভাইক কি কোম দারোগাবাবু । (নগেন কান্দিল )
দারোগা - নগেন তোমার সাথে
              ঘটে যাওয়া সব ঘটনা আমাকে বলো প্লিজ
নগেন - হামার দু:খের কথা
          তোমাক কয়া কি হইবে দারোগাবাবু কি পারিবেন তোমরা সেই সরিসাদিয়া খেদামভুত সেই শৈস্যাতে ভুত ।
দারোগা- টেলমি প্লিজ
নগেন - যখন শুনিবার চান তো শুনো ।
                                            ------------- অসমাপ্ত


ধারাবাহিক উপন্যাস
-----------------------------

                         হালুয়ার সংসার
                            রোহিত বর্মন
সাজ বেলাত ওঠি আর সইঞ্জা সময় বাড়িত আসি ঢুকে মজিবর, মাইয়া ছাওয়া সগায় বস্ত্য উমার কাম কামাই নিয়া, গরু ছাগল ঢুকায় মজিবর, আতি হইল খাওয়ার বসিল বগলত দুই টা ছাওয়া দুই বগলত বসি ভাতের তাল নিয়া, ভাত দেয় মাইয়া ছাওয়ার হর করে ক্যাংয়ের ব্যাংয়ের তাও মজিবর না হয় গোষা। সকাল সকাল ওঠি মজিবর যায় হালে জোঙ্গালে পাতার বাড়িত। সারা দিন টায় কাম কামাই করি যেলা ঘরত আসিল ফিরি তখন মজিবর মাইয়া কয় ঘোরত নাই যে আজি খাবার কি খামো এলা ? ছাওয়া দুই টাও নিন্দাইসে ওমনে পেটের ভোগ ধরি! মজিবরের মাথার টনক গেইলেক নড়ি কি খাইমো এলা আছে পড়ি হস হস করি এলাং গোটায় আতি খান হামা বা নায় খাইলোং, ছাওয়া লা এলা কেংকরি নইবে গোটায় আতি খান পেটের ভোগ ধরি।

মজিবর ও মজিবর কোটে গেলু রে দোবোর খান খুলেক রে মুই রূপচন রে খোল দোবোর খান। আমিনা দোবোর খান দিল খুলি রূপচন ঘরত আসিল আর ছাওয়া দুইটার বগলত নইল বসি। চায়া দেখে আমিনা আর মজিবরের মুখের ভিতি! রূপচন কয় কি হইল রে মজিবর তোমার দুইজনের মন ক্যানে আজি আন্দার? জানিস রূপচন আজি হামার ছাওয়া দুই টা রে না খায়ায় নিন্দাইসে পেটের ভোগ ধরিয়া! আজি এক দানাও খাওয়ার নাই রে হামার ঘরত। রুপচনের গাও খান ওঠিল গিজলি কি কইস রে মজিবর! খাওয়ার নাই তোর আজি তাও তুই আছিস চুপ করি বসি! কি করিম আর ক কার ওঠে যাইম এই মংগা দিনত সগায় খালি কয় নাই মোর খাওয়ার তোক দিম কোটে থাকি। মজিবরের কথা শুনিয়া আমিনার চোখ দিয়া জল পড়ে ঝড় ঝড় করি! রূপচন দেখি নইল খালি মজিবরের ওদি। রুপ হুট করি ওঠিল আর মজিবরক কইল তুই র এটে বসি মুই আইসো এলায় বাড়ি থাকি। একে দৌড়ে বাড়ি আসিল রূপচন, আসি দেখে আন্দোন ঘরত কি আছে খাওয়ার ওঠকাইটে ওঠকাইটে পাইল চাইটা চিড়া আর গুড়া। চিড়া গুড়া চাইটাক টোপলা করি বান্দি নিয়া আরো এক দৌড় দিল রূপচন মজিবরের বাড়ি বুলি। তখন ও আসি রূপচন দেখে মজিবর আছে চায়া বসি ফ্যালফ্যাল করি এক মনে কি যেন নাগছে ভাবির বগলত বসি আমিনা, ছাওয়া দুইটা আছে এলাং নিন্দোত পড়ি। কি রে মজিবর, মজিবর ওঠিল তাড়াও করি চটকি! হুম ক রুপচন। এই নে এটে চাইটা গুড়া আর চিড়া আছে ছাওলাক দেখে তোলা আর খাওয়ার দেক পছকরি । আমিনা দুই ছাওয়াক তুলিল দেখে আর দিল গুড়া চিড়া খাওয়ার। ছাওয়া দুই টা গুড়া আর চিড়া পায়া খিব খুশি হয়া খাওয়ার নাগিল সেই আনন্দে।
                                                         চলিবে

                       

No comments:

Post a Comment