Saturday, 28 March 2020

ভাওয়াইয়া-দোতরা প্রকাশিত সংখ্যা ;সপ্তম (০৭) ২৯-০৩-২০২০




চেংড়িটা
র্নিমল বর্মন
আউলা ঝাউলা চুল, ছিড়া ফাটা জামাত অক্ত নাগা গোটা দেহা।
এইনাকান রূপত ছোট্ট একটা চেংড়ি
নাই নইজ্জা শরীরৎ দাঁড়ে রইল
পুলিশ স্টেশনের কোয়ারিৎ
ঝিৎ নাগা চখুর ভিতিরাত পুড়ি যাওয়া একটা জ্বালা
এক্কেমুখে কানোত বিঁধাইল উঁচা গালাত
স্যার, স্যার মুই কি? ----।।


করোনা
বিষ্ণু রায়,

সর্বনাশা করোনা ভাইরাস,,
                      হায়রে জীবন বিনাশি‌।
কান্দে ওরে তামান হারেয়া,,
                                 এই বিশ্ব বাসি।

বিধির বিধানে চীন দেশে,,
                         করিলেক অনাচার।
তার থাকিয়ায় হইলেক সৃষ্টি,,
                          ভাইরাস করোনার।
মরেছে মানষি কতো শতো,,
                                  হয়া অসহায়।
ভয়ঙ্কর এই মহামারী,,
                        আসিলেক দুনিয়ায়।

আর করোনার এই আক্রমণে,,
                                ভাই,বইনি,গন।
মরেছে পরিয়া চাইড়োপাখে,,
                               বিশ্বের জনগণ।
ভয় পান না বিশ্ব বাসি,,
                              হও রে সচেতন।
ভারত সরকার পণ করিসে,,
                     করিবে করোনা নিধন।



সৌগে কপাল
পুজা রায়।

বান দেওয়ানির পোড়া কপাল
বাড়ে দিনকে দিন
আঁশি বিঘা জমি আজি
হইছে কাটা তিন।।

নাম কইলে বান দেওয়ানি
সগায় তাক চেনে
তারে ব্যাটা মদ খায়া
ঘাটাত পরি থাকে।।

আঙিনাত বসি বান দেওয়ানি
কান্দি কান্দি কয়
উনার নিলায় রাজা ফকির
ফকিরে রাজা হয়।

মনত মোর এতো দুঃখ
থুবার জাগা নাই
রাতি ফুরাইলে মানষির বাড়িত
কামাই করির যাই।।
ভাইগ্য হইল ঘড়ির কাটা
নক্কে নক্বে ঘুরে
উঁচা ডালের পখিটাও মাটিত
ধাপ্পাস করি পড়ে। ।


অস্তির সূর্য(ব্যালা)
     রমেন বর্মন


পেটলি বেটিছাওয়াটারও আজি নিন ক্ষরে গেইচে...

একটায় চিন্তা
উয়ার একটায় সৈন্তা....
যদি নিভি যায় কায় দিবে বাতি...

একমুটি ভাত প্যাটোত ঢোকে না
কোটে থাকি কি আসিল আপোদ 'করোনা'...

আগোত আচোলো বসন্ত, কালাজ্বর আরও কলেরা
ডাক্তার কবিরাজ যদি বাটি খোয়াইস তাও ছাড়ে না...
অ্যামোন করোনা...

'পিতিবির অসুখ'
শাস্ত্র মানে না....
গাওবান্ধ মাওয়ের কান্দন কানোতো পড়ে না?

তাও মুই চুপ!
একদালা মাটি মুখোত কামড়ে নিয়া...
যদি কোনো 'হাততালমানা' ডাক্তার পাং...

আজি অস্তির সূর্য...
কোনো ভাষা পায়চেনা...
হাত দুটো নুলা করি উয়ায়ও কাকবা কি কবার নাগিচে..
মুই কিন্তু বুজির পাচুঙ...




তিস্তা
প্রবীর রায়

তিস্তা তুই নদি তা হামরা সগায় জানি
তোমার গোরে আছে কত পিরিতিময় কাহিনী
আছে সবুজ জঙ্গল, দখলকরি মারামারি কাটাকাটি, তোমা বুকুত যত ঘরবাড়ি
তোমার পারত হলুদ মাখা বালি যা দিয়া হয় সাধের ঘরবাড়ি।
সকাল সইঞ্জা মাথা ঝস ফেলে উদবাস্ত ছিটমহল ঘুরিবেড়া পখি।
তিস্তা তুইও লম্বা নদী আঁকা বাঁকা; কত নাম জানি,
ঢকে তুই যৌরাণী, হইস তিস্তা নারী, হইস তিস্তা বুড়ি,
হইস তুই বগলে গাওয়ে দেবী পাটেশ্বরী।
তোমার জলধারার জন্য কতলা না রাজনীতি;
ক্যাং করি হুবে ভাগা -ভাগি।
কাঁটাতারের দুইপারে তোমাক নিয়া যত ডেকাডেকি।



মিছিল
রোহিত বর্মন

দল বান্দি যায় কত লোক, নাঠি ঠ্যাংয়া খোচা যে হাতোত। ভয়ে গাও খান কাঁপে আরো ঝিনিত করে যে ওঠে কেনে? বাঁশ কাটে খড়ি নিয়া যায়।
জিও খান হাউ হাউ করে--

মিছিল শ্যাষ সগায় যায় বাড়ি, নাঠি ঠ্যাংয়া পুড়িয়া ছাই'র, ভিড়া!




হে বিশ্ব দ্যাবতা
সঞ্জয় বর্মন

তুই আলো দে
তুই জ্ঞান দে
তুই দে জোনাক আইত
দেহার ত্যাজ,,,,

ঘড়ে ঘড়ে জ্বলুক শঙ্খ প্রদীপ
দে সুখ
দে শান্তি
ছড়ুক ভালোবাসা
ভৈ ভৈয়া হৌক আলোর রোশনাই
ফলে ফুলে পিরথিবীৎ শুনির চাঞ পখির ড্যাক।

হে বিশ্ব দ্যাবতা
তুই দে জ্ঞানের আলো।


রাজবংশী
                 প্রীতিলতা রায়

  হামরা হনি দেশী মানষি দেশি কতা কই ।       
খোকরা পনতা না খালে যে প্যাট করে চইচই। সকাল,দুপুর, আতি যদি না খাই এক প্যাট।   
ভালো মন্দ কতায় হামরা করি ক্যাট -ক্যাট।   
 
 সিদলের আওটা দিয়া যদি আনদিসে শিঙি মাছ।   
 ওইটে কোনায় নোকর- পোকর ওইটে হামার কাজ ।
একপ্যাট খায়া গেলি দিনদুপুরে নিন।
নিন থেকে উঠিয়া কবার না পাই আতি না দিন। 
বেলাটা যেলা যাও যাও ভাব গেলুং গোরু আনির।     
ওইটে আরও গল্প জমিল মোর আর মণির।   
 বাড়ি আসিয়া দ্যাখেছোং তায় বেটা বিড়াইসে হাট।
কালা চুলি বায় নাল করিসে কত যে ঠাটবাট ।
সঙ্গে আরও দিসে বায় ঠক ঠকিয়া মুরগা ছাট।
 মোর দিন বায় চলি গেইসে এলা তোমারে দিন। 
মুই বেশি কতা কলে কয় হামার বুড়াটার নাই নিন।

Saturday, 14 March 2020

"ভাওয়াইয়া-দোতরা পত্রিকা" ষষ্ঠ সংখ্যা প্রকাশিত



বনের ভিতিরা যাঙ
অজিত অধিকারী

জীবন শুকিয়া গেইলে বনের ভিতিরা যাঙ
সাথত নেঙ ঝকঝকা এখনা কবিতার বই
পাতা - ছাওয়া সূরজের নীচত হাটুপাতি বইসঙ
শিশির পরার নাখান বাজি ওঠে গান
বাজি ওঠে এখনা আলো হি দ্দের টান
হাওয়াত দোলে কচি পাকড়ির পাতা
আহা! তোকে ভালোবাসঙ নির্জনতা
পাতার আশুরবাদ নিবার বাদে দুই বমহাত তোলঙ
তোকে ভালোবাসিয়া সব দুস্খ ভোলঙ
আরো ভিতিরা দ্যাখঙ সব হয়া আছে ঝিৎ
ভালোবাসঙ বনের চুপাচাপ হিত

জীবন শুকিয়া গেইলে বনের ভিতিরা যাঙ
বনের ভিতিরা গেইলে কত আয়ু ফিরিয়া পাঙ


চেতনা
  বিষ্ণু রায়,

নারীর দেহা নরম দেহা,
                           খাইতে ভারি মিষ্টি।
নারীর দেহা লোভের দেহা,
                          সেই বিধাতার সৃষ্টি।
পাইলে একলা যায়না থাকা,
                      বন্ধো করেন আন্ধারে।
মানিলে ভালো, নাহলে অস্ত্র ধরেন,
                  জাত বিচার নাই অন্তরে।
হয়তো কাহারো আদরের বইন,
              কুনো মায়ের কোলার শিশু।
তাতে তোমার কি আইসে যায়,
                      তোমরা যে হিংস্র পশু।
কামনার অগুন জ্বালান তোমরা,
                দেখিলে পরে নানীর অঙ্গ।
একলা পাইলে অসহায় নারীক,
                      করেন কতো যে ব্যঙ্গ।
পোশাকে নারীর বিচার করেন,
                        শরীরটা থাকে ঢাকা।
নোংরা মনের মানষি তোমরা,
          তোমার বিবেকটা হইল ফাঁকা।
যেমন কর্মের তেমন ফল,
                           পূর্ব পুরুষের বানী।
তুইও একদিন বাপ সাজিবু,
       বুঝিবু সেদিন নারী দেহার গ্লানি।



"শ্রী বিনন্দ বর্মন"
          রমেন বর্মন

এই তো মোরে বোধে...
বিনো বালা দিদির চোকুর নদী জোরা হলহল করি নামি গেইল...

সেদিন কৃষ্ণকালা আন্দার...
দ্যাওবার!
২০০২ সনের ব্যালার গোড়ত...

ডিঘির পাড়োত বসি ম্যাঘের নাকান চুলের খোপাটা খুলি
পেরায় আটারো বছরের গাঁথা মহাকাব্য মুই এলাও শোনং...

ওই সুঙলি নদীর ঘাট...
ওই নবীনের দোলা মাষানের পাট
ওই জুরাবান্দা ঠাকুর
ওই মুখাবাঁশীর সুর
মোক এলাং নিনের সিতান থাকি তোলে...

তোর মাটিকান
মোর মান সন্মান
মোর নাড়িপোতা থান
মোর চাতালের বান...
পাবে না কাও করিবার খান খান...

যেদিন আসরের সুরে ভিজিচিলো মোর ঘটের বিচিনা
সেদিন থাকি বিষহরি মাও মোর হইচে চিনাযাতনা...

শ্রী বিনন্দ বর্মন তুই কি
এলাং সুঙলির পুলের পাড়োত...
বা তোর মিতোরের বাড়িত তালিম দিস!

না আরও বিনোবালা দিদির বাদে আসিয়া স্বপন দিয়া যাস...


            হাউস
              রোহিত বর্মন

বাঁচিবার হাউস আছে এলাং ভাইল্লা
কিন্তুু বাঁচোং কাক নিয়া মানষি ভাইল্লা
বগলত নাই কাহো সগায় খালি দূরত!
আসবু বগল আছে তোর হিম্মত মুরাদ।

দূর থাকিয়া মানষি দেখে আর হাসে
বগলত আসির কলে সগায় কান্দে।
কিবা আছে মোর ধন সম্পদ ভান্ডার
নাই কিছুই পড়ি আছে খালি ভান্ডার।

বাঁচিবার হাউস আছে এলাং ভাইল্লা
মোর এই ফাকা জীবন সগে সাইল্লা!
কায় আদর করিবে মোক কন মোক
সগেই নিয়া গেইছে নাই দেংয়ে তোক।